সাকিব কি বিপিএল খেলতে পারবেন?

সাকিব ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। অনেকটাই সেরে গেছে সংক্রমন। মেলবোর্নের হাসপাতাল ছেড়েছেন। সাকিব দেশে ফেরার পর ধীরে ধীরে শুরু করবেন পুর্নবাসনপ্রক্রিয়া ।  ব্যথা কমলে ধরতে পারবেন ব্যাটও। দুই তিন মাসের মধ্যে যদি সাকিব সেরে ওঠেন, তাহলে জানুয়ারিতে বিপিএল খেলতে পারবেন?

বাসিবি সভাপতি চান সাকিব পুরো ফিট  হয়েই মাঠে ফিরবেন।

একটি একটি করে সুখবর মিলছে সাকিব আল হাসানের চোট নিয়ে। সংক্রমন  প্রায় সেরে যাওয়ার পথে। হাসপাতাল ছেরেছে আজ, হয়তো দেশে ফিরবেন, সব ঠিক থাকলে দুই তিন দিনের মধ্যে। সংক্রমন সেরে গেলে সাকিব শুরু করতে পারবেন খেলা। অস্রোপচারের প্রস্তুতি নিতে হবে যখন নতুন করে ব্যাথা  অনুভব করবে। দুই -তিন মাস লেগে  যেতে পারে তার মাঠে ফিরতে, যদি ব্যাথা অনুভব নাও হয়।  জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ( বিপিএল) দিয়ে মাঠে ফিরতে কি পারবেন এই বাহাতি অলরাউনডার?

সাকিব মাঠে ফিরবেন পুরোপুরি ফিট হয়ে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের চাওয়া। যদি বিপিএল তাতে বিসর্জন দিতে হয়, বাঁহাতি অলরাউন্ডার দিবেন। নাজমুল সাকিবের পুরোপুরি ফিট চান বিশ্বকাপের আগে।

সাকিবের সংক্রমণ ভালো হচ্ছে, এটা ভালো খবর। এশিয়া কাপের আগে সে অস্রোপচার করতে চায়, সংবাদমাধ্যমে বলেছেন। এটাই সেরা সময়, যদি সে করতে চায়, (অস্রোপচার করানো)। দুই মাস বিশ্রাম নিয়ে অস্রোপচার করে ফেলাই ভালো। যথেষ্ট সময় আছে, তাহলে সাকিবকে বিশ্বকাপের আগে সম্পুর্ন সুস্থ পাব। এখন যে সব খেলা আছে সে সব খেলা না খেলাই ভালো।

ঢাকা ডাইনামাইটসকে একটু বিপাকে পড়তে হতে পারে যদি সাকিব না খেলে। গত দুই বিপিএল এ ঢাকার 'আইকন' হিসেবে খেলেছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক। ঢাকার কি হবে না হবে সাকিব খেলতে না পারলে, নাজমুল সেটি গুরুত্বই দিতে চান না। অবশ্যই বিসিবি সভাপতি ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির সংঙ্গে নিজেও জড়িত। তারপরও তার কাছে বিপিএল নয়, পুরোপুরি ফিট হওয়াটাই জরুরি। সাকিবের ফ্র্যাঞ্চাইজির কথা চিন্তা করে এজজন জাতীয় দলের খেলোয়ারের কী হবে, এত কিছু বলা মুশকিল। অবশ্যই তার সমস্যা হবে। তারা হয়তো একটা সমাধান করবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলে। তারপরও পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলা উচিত সাকিবের। যখন মানুষের মধ্যে সন্দেহ এসেছে যে এশিয়া কাপ খেলার কারনে তার এমন হয়েছে, তাহলে কোনো সিরিজ টুর্নামেন্টে খেলার দরকার নেই। এশিয়া কাপ অনেক গ্রুরুতপূর্ন বিপিএল-আইপিএলের চেয়ে। এশিয়া কাপের চেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ বিশ্বকাপ। আমরা চাই বিশ্বকাপটা সে পুরোপুরি ফিট হয়ে খেলুক।

বিসিবি সভাপতির চাওয়াটা অবশ্যই যৌক্তিক।  নিশ্চই সাকিব তাতে দ্বিমত পোষন করবেন না। লম্বা ক্যারিয়ারের কথা ভেবে বাঁহাতি অলরাউন্ডার নিজেও হয়তো আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইবেন না, ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে।

2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post