এক লোক, সে ছিল তার স্ত্রীর জন্য পাগল, যদিও তাদের দাম্পত্য জীবনের এই ১০ বছর খুব মসৃন ও সবসময় সুখকর ছিল না। যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল সে তার স্ত্রীর মধ্যে এমন কি পেয়েছে যার জন্য সে তার প্রশংসামুখর।
সে বলল; যখন থেকে আমাদের সংসারের শুরু, আমার অবস্থা যতই খারাপ হচ্ছিল, আমার স্ত্রী আরো বেশি বেশি করে অনুরোধ করছিলো আমাকে নামাজ আদায় করার জন্য, কখনোই সে এই করা বাদ দেয় নাই। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও আমি তার এই কথার মূল্য আর পাত্তা দেই নাই।
কিন্তু, যেদিন আমাদের ১০ম বিবাহ বার্ষিকীর দিন ঘনিয়ে এল আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে এবার উপহার হিসেবে কী পাওয়ার ইচ্ছা করছে আমার কাছে। সে খুব সোজা ও সুন্দরভাবে উত্তর দিয়ে বলল, "তুমি যদি আজ থেকে নামাজ পড়া শুরু কর তবে সেটাই হবে আমার জীবনের সবথেকে দামী উপহার পাওয়া" আমি তাকে সেদিন আর না করতে পারি নাই, তার কথা ফেলে দিতে পারি নাই। তখন থেকেই আমি আমার নামাজের ব্যাপারে সচেতন এবং নিয়মিত নামাজ পড়ি, আলহামদুলিল্লাহ।
আমার জীবনের এত্ত সুন্দর একটা পরিবর্তনের কারন সেইই এবং আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। আজো আমি দুঃখ করি যে আমার জীবনের কত মূল্যবান সময় অপচয় করেছি এই নামাজ না পড়ে। এই ভাইয়ের জীবন থেকে আমাদের বোনেরা একটা শিক্ষা নিতে পারেন।
সেই সকল বোনদের বলছি আপনারাই পারেন আপনার স্বামীর জীবনকে, আপনাদের জীবনকে জান্নাতমুখী করতে। তাহলে আমাদের জীবনটা খুব সুখময় হয়ে উঠবে।
নামাজ, রোজাসহ ইসলামের যাবতীয় রীতি-নীতি মানতে আপনারাই আপনাদের স্বামীদের উৎসাহিত করতে পারেন। এভাবে আপনাদের দুনিয়ার বাস্তববাদী উপহার না নিয়ে পেতে পারেন আখিরাতের জান্নাতের স্বাদ, জান্নাতি উপহার।
তাই আসুন দাম্পত্য জীবনকে করে তুলুন আখিরাত ও জান্নাত মুখী। মনে রাখবেন পৃথিবীর উপহার ক্ষণস্থায়ী এবং পরকালের উপহার আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং তা চিরস্থায়ী। আল্লাহ সকলকে জান্নাতি ও পরহেযগার দাম্পত্যসঙ্গী ও জীবন দান করুন, আল্লাহুম্মাহ আমীন।