আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারবে । তাদের মনমতো সরকার বেছে নিক এসব বিষয় চিন্তা করে আমরা সংলাপে বসেছি । অথচ তারা সংলাপের পাশাপাশি আন্দোলনেও যেতে চায়। তাদের এই পলিসি আমাদের কাছে বোধগম্য না। জানি না দেশবাসী জাতি এটা কিভাবে নেবে।
শনিবার বিকেলে ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন । সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী শেখ ফজলুল করিম সেলিম স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিমিন হোসেন রিমি ও এ কে এম রহমত উল্লাহ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী বলেন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হক আমরা সেটাই চাই। নির্বাচন সামনে রেখে যখন ঐক্যফ্রন্ট চিঠি দিল আমাদের সাথে দেখা করতে তখন আমি সাথে সাথে স্বাগত জানালাম। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও যারাই দেখা করতে চাচ্ছে আমরা করছি । আর আমরা কাউকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করি নাই । তাই যদি করতাম তাহলে খালেদা জিয়া যখন ২০১৫ সালে মানুষ পুড়িয়ে মানুষ মারলো তখনই তাকে গ্রেপ্তার করতে পারতাম । সেটাও তো আমরা করিনি । কাজেই আমরা তো রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করিনি ।
খালেদা জিয়া ও তারেকের দুর্নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন তারেক জিয়ার জন্য তো আমেরিকা থেকে এফ বি আই এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে। আর খালেদা জিয়ার জন্য কয়েকটি কেইসে তারা সাক্ষী দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত যে এরা দুর্নীতিতে জড়িত । দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের যুবিলী মাঠে আমাদের উপর যে পুলিশ গুলি করল সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে খালেদা জিয়া পরে প্রমোশন দিল। এরকম আরো অনেক ঘটনা তারপর ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বাংলাদেশের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নিজে তাকে ফোন করেছি। আমার এডিসি কি দিয়ে ফোন করেছি । তিনি ফোন ধরেননি। তিনি ফোন করেননি।