মিয়ানমারকে চাপ দিতে চীনের প্রতি আহ্বান


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন

মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত নিতে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য তিনি আশা প্রকাশ করেন। চীনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়ক হবে চীন। বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় গণভবনে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী ঝাও কেজি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ ব্যাপারে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন চীনের মন্ত্রী সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় ও বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি চীনের মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কারিগরি সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।

বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঝাও কেজি জোরপূর্বক উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত নিতে সে দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে। চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন চীনের উদ্যোগ এ সংকট সমাধানে সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের মন্ত্রী কে জানান বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্সনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে । কিন্তু মিয়ানমার কথা অনুযায়ী কাজ করছে না। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন এই দুটি সামাজিক অভিশাপ কে কঠোর হস্তে দমন করা হচ্ছে । ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে । সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ঝাও কেজি দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে আপনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায়।

বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী চীনের চলমান সহযোগিতার প্রশংসা করেন। চীনের সমুদ্রের উপর বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে একে বিস্ময়কর বলে বর্ণনা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এবং বিভিন্ন নদীর উপর আমাদের সেতু নির্মাণ প্রয়োজন। এছাড়া আমরা চীনের সহযোগিতা চাই। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য ভূমি বরাদ্দ করেছে। যাতে তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে। তিনি বলেন, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে চীনের আরও উদ্যোক্তা বাংলাদেশ আসবে আমরা আশা করি।

বেইজিং সবসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমর্থন দিয়ে আসছে চীনের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা সমর্থন দিয়ে যাব তিনি বলেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া জয়নুল আবেদীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং নিরাপত্তা সার্ভিস বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post