রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কমিশনের কার্যালয়ে বুধবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের একথা জানান ৪১ হাজার এর বেশী ভোট কেন্দ্র কে নির্বাচনের উপযোগী রাখা সংস্কার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের আগে সব বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। যাতে প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা সম্ভব বলেছেন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।
৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এই সরকারের মেয়াদ শেষে সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করার প্রস্তুতি রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। আগামী ১১ থেকে ১৮ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা ৬ ডিসেম্বর এর মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন মধ্য ডিসেম্বরের পর থেকে যে কোন দিন জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনার কথা আমাদের বলা হয়েছে।
বিদ্যালয়গুলো নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষকরাও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে জানিয়ে ইসি। সচিব বলেন নির্বাচনের আগে কোন প্রার্থী ঋণখেলাপি বলে প্রমাণিত হলে মনোনয়ন পত্র দাখিলের এক সপ্তাহ আগে তা পরিশোধের নির্দেশনা ছিল।
সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আইন আরপিও অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিনও এই বিল পরিশোধ করা যাবে।
তিনি জানান, প্রার্থী হতে আর আয়কর রিটার্ন সনদ বাধ্যতামূলক নয়। যাদের টিআইএন নম্বর রয়েছে তারাল দেবেন; অন্যদের দরকার নেই।
১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনার দের দেখা করার কথা রয়েছে । এরপর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
মনোনয়ন দাখিল, বাছাই প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং প্রতীক,বরাদ্দ শেষে প্রচারে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০- ৪৫ দিন ব্যবধান রাখা হযে় থাকে।
নির্বাচনে ৭৪৭ দিন সময় নিয়ে এর আগে নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ৪২ দিন সময় নিয়ে ১০ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল।