একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্মীপুর ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা মাঠে নেই বিএনপি


স্টাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে । মানুষের মুখে মুখে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে লক্ষ্মীপুরে-২ প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ঝাঁপ। প্রচারণায় ব্যবহার করা হচ্ছে নানা কৌশল । বিএনপির মাঠে না থাকলেও আড়ালে-আবডালে চলছে দলীয় প্রচার-প্রচারণা। বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণসহ তৃণমূল কর্মীদের চাওয়া-পাওয়ার মূল্যায়ন কে প্রাধান্য দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করাটা এখন প্রার্থীদের মূল লক্ষ্য। 

রায়পুর লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক নিয়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। ভোটারবিহীন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে জাতীয় পার্টি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নোমান। 

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এবার আসনটিতে ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তীরে ভেড়ানোর নৌকার বৈঠা ধরতে এবার মরিয়া হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ। অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুল কবির জগলুল্ মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ কাজি শহীদ ইসলাম পাপুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর উদ্দিন চৌধুরীর নয়ন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী ও এডভোকেট সালাহ্উদ্দিন রিগান নিজেদের ছবি দিয়ে তারা ভোট প্রার্থনা করছেন। 

নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষে তবে গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ ও নেতাকর্মীদের নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন। এজন্য ইউনিয়নের বেশিরভাগ নেতাকর্মী রয়েছে তার পক্ষে। এতে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তরুণ ও শক্তিশালী আওয়ামী মনোনয়ন প্রার্থী পাপুল। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী মনোনয়ন পেতে লাগাতারভাবে খুবই সক্রিয়ভাবে মাঠে নৌকার পাল উড়িয়ে চলেছেন তিনি। 

তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের তরুণ প্রজন্মের কাছে রাজনীতির আইকন হিসেবে পরিচিত। সেদিক থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়ন তিনি পাচ্ছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ প্রসঙ্গে মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল বলেন, কাজ নিজ উদ্যোগে করবেন। রায়পুরে গ্যাসের জন্য শতভাগ চেষ্টা করবেন। একবার সুযোগ পেলে তার এলাকা উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলায় পরিণত করবেন । তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে এ আসন থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হোক তার পক্ষে তিনি কাজ করবেন বলে জানান । 

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন বলেন, রায়পুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে নিজ খরচে আওয়ামী লীগের অফিস স্থাপন করেছেন। ওইসব কার্যালয় থেকে এখনো দলীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রায়পুর কে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত করতে পাপুল গত দু'বছরে ধরে প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় সকল কর্মসূচি নিজ অর্থায়নে পালন করছেন । এছাড়াও তিনি দলের নেতাকর্মী মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, মন্দির সহ প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে দান অনুদান দিয়ে আসছেন। তাই তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনটি খুব সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। 

অন্যদিকে বিএনপির থেকে ২ বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ আবুল খায়ের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তবে আগামী নির্বাচনে এর মধ্যে দলের সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে জানান বর্তমান সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ নোমান।
إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم