বধূ তুমি কার এতদিন শুধু সিনেমার পর্দায় দেখা যেত। একজন স্ত্রী কে ঘিরে দুইজন স্বামী তত্ত্ব লড়াই আর ঘাত-প্রতিঘাত। কিন্তু সিনেমার গল্প বাস্তব হয়েছে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের জীবনে। মাত্র 7 দিন আগে ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় মহা ধুমধাম করে নাসির বিয়ে করেন তামিমা নামের সুন্দর এক তরুণীকে। তিনি বিদেশি এক এয়ারলাইন্স এর কেবিন ক্রু।কিন্তু বিয়ের রাত পোহাতে পরদিন সকালে পুরো দেশবাসী হতবাক।
দাবি নিয়ে মঞ্চে হাজির রাকিব নামে এক যুবক। রাকিব জানান তামিমানাকি তার সদ্য বিবাহিত 11 বছরের স্ত্রী। তামিমের সাথে আছে রাকিবের 8 বছরের শিশু কন্যা। রাকিবের অভিযোগ তাকে ডিভোর্স না দিলেও নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা। তামিমাকে ফিরে পেতে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডিও ফরেন তামিমের স্বামী রাকিব।যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ঝড় উঠেছে সারা বিশ্বে। রাকিবের সাথে নাসিরের ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক।
যেখানে নাসির এর পক্ষ থেকে সবকিছু জেনেও তামিমের কে বিয়ে করার বিষয়টি স্পষ্ট বলা হয়। একইসঙ্গে থানায় করা জিডি তুলে নিতে রাকিবকে পরামর্শ দেন ক্রিকেটার নাসির। বুকে নিয়ে এমন লড়াইয়ের মধ্যে আইনি ঝামেলায় নেমেছেন তামিমার স্বামী রাকিব। বিয়ে নিয়ে প্রতারণা বন্ধে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন তিনি। এখানে বিয়ে ডিভোর্স নিয়ে রেজিস্টার করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রিট জারি করে উচ্চ আদালতে নোটিশে বলা হয়।
উচ্চ আদালতে আমিও ডিভোর্সের রিট জারি করা থাকলেও তার ডিজিটাল না করলে এধরনের বিয়ে নিয়ে প্রতারণা চলতে থাকবে। এ ধরনের প্রতারণা অহরহ চলছে বলে আরও জানানো হয়েছে।সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে অনেক সময় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধ বে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। তাই বিয়ের ডিভোর্স রেজিস্টার হওয়ার ডিজিটাল হওয়া একান্ত আবশ্যক। পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে আবার বিয়ে করলে আইনের 10 বছরের কারাদণ্ড বিছার রয়েছে। বউ নিয়ে যুদ্ধে নাসির এবং রাত্রি চরম এই যুদ্ধে কে শেষ হাসি হাসবে তাই এখন দেখার বিষয়।