একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ সোমাবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আগামী 30 ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ কথা জানিয়ে বলা হয়, নির্বাচনে ভোট গ্রহনের পূর্বে, ভোট গ্রহনের দিন ও পরে আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষে সোমবার থেকে 2 জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত স্ব স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচন কমিশন আথবা অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে।
এতে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর এ মোতায়েন ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় হবে। সশস্ত্র বাহিনীর এ মোতায়েন ’ ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার‘ এর আওতায় হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা অথবা উপজেলা অথবা মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অভিযান পরিচালনা করবে।
উপকূলীয় ১৮টি ও সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলা ছাড়া অন্যান্য ৩৮৯টি উপজেলায় সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় ১৮টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলায় বিজিবি (অন্যান্য দায়িত্বপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি) কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিমান বাহিনী কর্তৃক জরুরি প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষে প্রস্তুত রাখা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অথবা মহাসড়কসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেল স্থাপন করা হবে।
প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের ৬টি আসনের (২১ রংপুর-৩, ১০০ খুলনা-২, ১০৬ সাতক্ষীরা-২, ১৭৯ ঢাকা-৬, ১৮৬ ঢাকা-১৩ এবং ২৮৬ চট্টগ্রাম-৯) ভোট কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট করা হয়েছে এবং তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জনসচেতনতা ও প্রচারণা কার্যক্রমে ইভিএম-এর উপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কারিগরী দক্ষ হিসেবে অংশগ্রহণ করছে। উল্লেখিত ৬টি নির্বাচনী আসনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্রাচনী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরী সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৩জন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও উক্ত আসনসমূহের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ইভিএম সংক্রান্ত কারিগরী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত থাকবে।