ফিটনেস এর মূল রহস্য যোগ ব্যায়াম!
ফুটবলে মৌলিক অনুশীলন আগে যা ছিল এখনও তাই আছে। ভবিষ্যতেও তা পরিবর্তন হবে না। হয়তো ধরনের পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু মূল অনুসরণে একই রয়েছে। পাসিং অনুশীলন ফিনিশিং বল ধরে রাখার বিষয়ে সব আগের মতই, কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আবার এটা অনেকের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে। কেউ হয়তো ম্যাচের আগের রাতে আইস বাত করে কেউ আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়ে। কেউ আবার রাত জেগে কম্পিউটার গেমস খেলে । যেভাবে স্বস্তিবোধ করে সেভাবেই এসব ব্যক্তিগত পছন্দের অনুশীলন করে। তাই বলা যায় মাঠের অনুশীলনের কোনো পরিবর্তন না এলেও মাঠের বাইরে অনুশীলন পদ্ধতি এবং কৌশলে কিছুটা হয়তো পরিবর্তন এসেছে।
আজকাল তো ফিটনেস এর ওপর এতটাই জোর দেয়া হয়েছে যে বড় বড় ক্লাবে পিজিও নিয়োগ করা হয়েছে । অনেক খেলোয়াড় শুরু করেছেন যোগব্যায়াম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রায়ান গিগস তো অনুশীলনে রীতিমতো যোগ ব্যায়াম করতেন। শুধু গিগস একা নন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অনেক খেলোয়াড়ই আজকাল যোগব্যায়ামে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন । অথচ বছর দশক আগে তো খেলোয়ারদের কাছে যোগ ব্যায়াম ছিল হাসির উপলক্ষ মাত্র । অনেক খেলোয়াড় এটাকে সময়ের অপচয় মনে করতেন। কেননা এ ব্যায়ামের ফলে বল যেমন প্রতিপক্ষের জালে পাঠাতে কোন সাহায্য করে না তেমনি জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতোও নয়। এমনকি সতীর্থদের ও বল পাস দেয়ার ক্ষেত্রে এটা কোন কাজে আসে না ।এসব কারণে ফুটবল খেলোয়াড়রা যোগ ব্যায়াম কে একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতেন ও সময়ের অপচয় মনে করতেন।
কিন্তু যখন এটা শুরু করা হয়, তখনই এর উপকারিতা অনুভব করা যায়। কিছুদিনের যোগব্যায়ামের দারুণ স্বাচ্ছন্দ অনুভব করা যায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত যোগ ব্যায়ামে শরীরের এতটাই স্বাচ্ছন্দ ভাব আসে যে সাধারন গ্রামে ওই পর্যায়ে কখনো যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তো ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের রায়ান গিগস শুধু যে যোগ ব্যায়াম করেন তা-ই নয়, অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য যোগ ব্যায়ামের সিডিও বের করেছেন । এ বয়সে গিগসের এমন ফিটনেস- কারন কি এই যোগ ব্যায়াম?